স্পোর্টস ডেস্ক: আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারকে ট্যাকল করতে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলেছিলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার মার্সেলো। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটায় অনুতপ্ত মার্সেলো মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘটনাটি যে অনিচ্ছাকৃত ছিল সেটিও বারবার বলেছেন। পায়ে মারাত্মক চোট পাওয়া লুসিয়ানো সানচেজের জন্য পরে শুভকামনাও জানিয়েছিলেন।
তাতে কী! ঘটনাটির ১০ দিন পর মার্সেলোকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল। ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ছয় হাজার ইউরো জরিমানাও গুনতে হবে ব্রাজিলের সাবেক তারকাকে।
গত সপ্তাহে লাতিন আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর কোপা লিবার্তাদোরেসের ম্যাচে এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসের দিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স। ব্রাজিলের ক্লাবটির হয়ে খেলছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার মার্সেলো।
ম্যাচের বয়স তখন ৫৫ মিনিট। বল কাটানোর চেষ্টা করছিলেন মার্সেলো। পাশ থেকে ছুটে এসে বাঁ পা বাড়িয়ে দেন আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার লুসিয়ানো সানচেজ। মার্সেলোর পা গিয়ে পড়ে সানচেজের বাড়িয়ে দেওয়া পায়ের ওপর। মুহূর্তেই সেই পা ভেঙে উল্টো দিকে একদম মুচড়ে যায়।
সানচেজের আঘাতটা যে মারাত্মক তা স্পষ্টতই। আর্জেন্টিনো জুনিয়র্সের চিকিৎসক আলেহান্দ্রো রনকোনি কাল ডি স্পোর্টস রেডিওকে তার চোট নিয়ে বলেছিলেন, ‘চিকিৎসক হিসেবে ২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি কখনো এমন কিছু দেখিনি। উর্বস্থি (ফেমার) ও অনুজঙ্ঘাস্থি (ফিবুলা) প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
রনকোনি জানিয়েছিলেন, পায়ের দুই হাড় সংযুক্ত করতে সানচেজকে বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং সেরে উঠতে ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগবে।